
ইংল্যান্ডের (World Cup 2019) বিশ্বকাপ (World Cup 2019) জয়ের হিরো তিনিই। ফাইনালে যখন পর পর আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফিরে যাচ্ছে টপ অর্ডার তখন হাল ধরেছিলেন তিনিই। পাঁচ নম্বরে নেমে অপরাজিত ৮৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন স্টোকস (Ben Stokes)। ম্যাচের সেরাও তিনি। আর ইংল্যান্ডের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে বড় ভূমিকা রেখেছিল এই রান। ইংল্যান্ড ব্যাটিংয়ের ফাইনাল ওভারে স্টোকস ট্রেন্ট বোল্টের বল ডিপ মিড উইকেটে পাঠিয়ে দুই রান নেন, কিন্তু তিনি যখন দ্বিতীয় রানের জন্য দৌঁড় শুরু করেন ততক্ষণে মার্টিন গাপ্তিল সেই বল ধরে উইকেটের দিকে ছুড়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেই বল তাঁরই ব্যাটে লেগে বাউন্ডারি হয়ে যায়। ছয় রান পেয়ে যায় ইংল্যান্ড এক বলে। স্টোকস অবশ্য সঙ্গে সঙ্গে মাঠের মধ্যে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে তাঁর হাত তুলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে। ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ম্যাচ শেষে এই অল-রাইন্ডার জানান, তিনি সারাজীবন কেন উইলিয়ামসনের (Kane Williamson) কাছে ক্ষমাপ্রার্থী থাকবেন।
সুপার ওভারেও টাই! অবিশ্বাস্য ফাইনালে বাউন্ডারি মেরেই বাজিমাত ইংল্যান্ডের
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমার কোনও ভাষা নেই। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে আমরা অনেক খেটেছিলাম। অসাধারণ একটা অনুভূতি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলাটাই সব সময় ভাল। ওরা দারুণ দল। আমি কেনের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী থাকব বাকি জীবনটা (যে ওভার থ্রোয়ে ছয় রান হয়েছিল)।... এটা আমাদের ভাগ্যে লেখা ছিল।''
এর পর সুপার ওভারেও অপরাজিত আট রান করেন তিনি। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ডের জন্য ১৬ রানের টার্গেট রেখেছিল ইংল্যান্ড।
দুই খেলাতেই রুদ্ধশ্বাস সমাপ্তি, মজায় মাতল আইসিসি ও উইম্বলডন
জোফরা আর্চার ইংল্যান্ডের হয়ে বল করেন সুপার ওভারে। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন মার্টিন গাপ্তিল ও জিমি নিশাম। দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হাঁকায় নিউজিল্যান্ড। শেষ বলে দুই রান দরকার ছিল। কিন্তু এক রান নেওয়ার পর দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান মার্টিন গাপ্তিল।
সুপার ওভারও ড্র হয়ে যায়। ইংল্যান্ড ১৫ রান করেছিল। নিউজিল্যান্ডও ১৫ রানেই শেষ হয়। বেশি বাউন্ডারি মারায় চ্যাম্পিয়ন করে দেওয়া হয় ইংল্যান্ডকে।