
Kings XI Punjab ও Delhi Capitals-এর সামনে মূল লক্ষ্য ছিল জয়ের ধারা ধরে রাখা। সোমবার মোহালিতে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। শেষ হাসি হাসল হোম টিম পাঞ্জাব। শেষ ওভারে ১৫ রান দরকার ছিল দিল্লির। হাতে ছিল দুই উইকেট। কিন্তু স্যাম কুরানই শেষ করে দিল্লির স্বপ্ন। শেষ ওভারে বলকে এসেছিলেন তিনি। প্রথম দুই বলে ফেরালেন রাবাডা ও লামিচানেকে। তার আগের ওভারের শেষ বলে তিনি আউট করেছিলেন হর্ষল প্যাটেলকে। যার ফলে হ্যাটট্রিক করেই দলকে জয় এনে দিলেন কুরান। দুই দলেই তাদের তিনটির মধ্যে দুটো করে ম্যাচ জিতে খেলতে নেমেছিল। মরসুমের প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে দুই দলকেই হারের মুখ দেখতে হয়েছিল। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে দু'জনেই ঘুরে দাঁড়ায়। পাঞ্জাব জয়ে ফিরেছিল মুম্বইকে আট উইকেটে হারিয়ে। অন্যদিকে দিল্লি সুপার ওভারে বাজিমাত করে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে। পাঞ্জাবের হয়ে Lokesh Rahul-এর ইনিংস যেমন চোখে পড়েছে তেমনই দিল্লির Prithvi Shaw নিজেকে ফিরে পেয়েছেন ব্যাট হাতে। আর রাবাডা তো সুপার ওভারে বাজিমাত করেছেন তাঁর বল দিয়ে। এই ম্যাচ কোন দিকে যাবে তারই ছিল অপেক্ষা। চার বল বাকি থাকতেই সেই অপেক্ষা শেষ হল।
ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খেল কিংস একাদশ পাঞ্জাব। দুই ওপেনার লোকেশ রাহুল ও স্যাম কুরান ফিরে গেলেন ১৫ ও ২০ রান করে। দু'জনেই এলবিডব্লু আউট হলেন। লোকেশকে ফেরালেন ক্রিস মরিসও কুরানকে লামিচানে। চার ওভারের মধ্যে ৩৬ রানের দুই উইকেট হারিয়ে একটু চাপে পড়ে গেল পাঞ্জাব। দিল্লির বোলিং ক্রমশ প্রতিপক্ষের কাছে চিন্তার কারন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মায়াঙ্ক আগরওয়াল ও সরফরাজ খানকে টিকে থাকতে হবে বড় রানের লক্ষ্যে। না হলে দিল্লিকে আটকানো সহজ হবে না। পাঁচ ওভারের শেষে পাঞ্জাব ৪৪-।
মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে রান আউট করলেন শিখর ধাওয়ান। ১০ ওভারের শেষে পাঞ্জাব ৮৬-৩। দিল্লির বোলারদের সামনে রীতিমতো অসহায় অবস্থা পাঞ্জাব ব্যাটসম্যানদের। পর পর তিন উইকেট চলে গেল সাময়িক হাল ধরার চেষ্টা করেন সরফরাজ খান। ২৯ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। তিনি আর ডেভিড মিলার মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সরফরাজকে ফেরান সন্দীপ লামিচানে। ১৫ ওভারের শেষে পাঞ্জাব ১২৯-৪। ডেভিড মিলারও ফিরলেন ৪৩ রান করে। ক্রিস মরিসের বলে পন্থকে ক্যাচ তুলে দিলেন।
ডেভিড মিলার আউট হওয়ার পর একমাত্র টিকে ছিলেন মনদীপ সিং। শেষ পর্যন্ত লড়াই করার চেষ্টা করেন তিনি। ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন। আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। ভিলজোয়েন ১, অশ্বিন ৩, মুরুগান অস্বিন ১, শামি ০ রানে ফিরে টান। ২০ ওভার শেষে পাঞ্জাব থামে ১৬৬-৯-এ। দিল্লির সামনে ১৬৭ রানের লক্ষ্য।
পাঞ্জাবের পথ ধরেই দিল্লির শুরুটাও ভাল হল না। গত ম্যাচে কলকাতার বিরুদ্ধ ৯৯ রানে আউট হওয়া ওপেনার পৃথ্বী শ এ দিন কোনও রান না করেই ফিরে গেলেন প্যাভেলিয়নে। ইনিংসের প্রথম বলেই পৃথ্বীকে ফেরালেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা শ্রেয়াস আয়ার ২৮ রান করে আউট হয়ে গেলেন। তাঁর উইকেট তুলে নিলেন ভিলজোয়েন। শিখর ধাওয়ান দিল্লির হাল ধরার চেষ্টা করেন কিছুটা কিন্তু অশ্বিনের বলে ২৫ বলে ৩০ রান করে এলবিডব্লু হয়ে যান তিনি। ১০ ওভারের শেষে দিল্লি ৮৩-৩।
এখান থেকেই দিল্লির ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন কলিন ইনগ্রাম ও ঋষভ পন্থ। ১৫ ওভারে দলের রানকে নিয়ে যান ১২৮-৩-এ। যার ফলে কমে আসে রানের ব্যবধানও। ৩৯ রানে বোল্ড হন ঋষভ পন্থ। নেমেই আউট হয়ে গেলেন ক্রিস মরিস। ৩৮ রানে আউট হন ইনগ্রাম। কোনও রান না কের ফিরে গেলেন হর্ষল প্যাটেল।
এখান থেকেই দিল্লির ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন কলিন ইনগ্রাম ও ঋষভ পন্থ। ১৫ ওভারে দলের রানকে নিয়ে যান ১২৮-৩-এ। যার ফলে কমে আসে রানের ব্যবধানও। ৩৯ রানে বোল্ড হন ঋষভ পন্থ। নেমেই আউট হয়ে গেলেন ক্রিস মরিস। ৩৮ রানে আউট হন ইনগ্রাম। কোনও রান না কের ফিরে গেলেন হর্ষল প্যাটেল। কোনও রান না করেই বোল্ড রাবাডা। স্যাম কুরানের হ্যাটট্রিকে বাজিমাত পাঞ্জাবের। ৪ বল বাকি থকতে ১৫২ রানে শেষ দিল্লির ইনিংস। ১৪ রানে ম্যাচ জিতে নিল পাঞ্জাব।
কিংস একাদশ পাঞ্জাব: লোকেশ রাহুল, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, ডেভিড মিলার, সরফরাজ খান, মনদীপ সিং, হার্দাস ভিলজোয়েন, স্যাম কুরান, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মুরুগান অশ্বিন, মহম্মদ শামি, মুজিব উর রহমান।
দিল্লি ক্যাপিটালস: পৃথ্বী শ, শিখর ধাওয়ান, শ্রেয়াস আয়ার, ঋষভ পন্থ, কলিন ইনগ্রাম, হনুমা বিহারী, হর্ষল প্যাটেল, ক্রিস মরিস, সন্দীপ লামিচানে, কাগিসো রাবাডা,আবেশ খান।