
গোলাপি বলের টেস্ট (Pink-Ball Test) খেলতে প্রস্তুত ভারত। বাংলাদেশের সঙ্গে (India vs Bangladesh) সিরিজের দ্বিতীয় তথা শেষ টেস্ট শুরু হচ্ছে শুক্রবার। এর আগে বহুবার দিন-রাতের টেস্ট খেলতে রাজি না হলেও অবশেষে কোহলি বাহিনী রাজি গোলাপি বলের টেস্ট খেলতে। ২০১৫ সালে প্রথম দিন-রাতের টেস্ট খেলা হয়। মূলত মাঠ ও টিভির দর্শকের সংখ্যা বাড়াতেই এই টেস্টের পরিকল্পনা করে আইসিসি। বিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রস্তাবে বিরাট কোহলি রাজি হয়ে যান দিন-রাতের টেস্ট খেলতে। এরপর সৌরভ রাজি করান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকেও। অবশেষে ঠিক হয় ইডেন গার্ডেনসে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টই হতে চলেছে দিন-রাতের।
কলকাতার দিন-রাতের টেস্ট এক ‘‘যুগান্তকারী উপলক্ষ'', বললেন বিরাট কোহলি
২০১৫ সালের নভেম্বরের অ্যাডিলেড ওভালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মধ্যে খেলা প্রথম দিন-রাতের টেস্ট থেকে এখনও পর্যন্ত ১১টি গোলাপি বলের টেস্ট খেলা হয়েছে।
#TeamIndia is ready for the #PinkBallTest. Are you?#INDvBAN pic.twitter.com/QBUYduvL3s
— BCCI (@BCCI) November 21, 2019
অস্ট্রেলিয়া চেয়েছিল অ্যাডিলেড ওভালে স্থায়ী ভাবে দিন-রাতের টেস্ট খেলতে। কিন্তু সফরকারী ভারতীয় দল রাজি হয়নি সেই প্রস্তাবে।
IND vs BAN, Day-Night Test: জেনে নিন এই ম্যাচের বিস্তারিত
অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কর্তা কেভিন রবার্টস জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ২০২০-২১ মরশুমে অ্যাডিলেড টেস্টটি দিন-রাতের করা যায় কি না সে ব্যাপারে তিনি চেষ্টা করবেন।
আইসিসির বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, আয়োজক দেশের ক্রীড়াসূচি নিয়ে আপত্তি জানাতেই পারে অতিথি দল। এবং সেক্ষেত্রে সেই পরিবর্তন করতেই হবে।
সৌরভ ইডেনে দিন-রাতের টেস্ট খেলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে দুই দলকে রাজি করিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি কথাও দেন, ম্যাচের প্রথম তিন দিন মাঠ একেবারে দর্শক পরিপূর্ণ থাকবে।
মাঠে থাকবে গোলাপি বলের ম্যাসকটরা। থাকবে আর্মি প্যারাট্রুপার। তারাই আকাশ থেকে গোলাপি বল নিয়ে মাঠে নেমে আম্পায়ারদের হাতে তুলে দেবে। গ্যালারি ভরা থাকবে খ্যাতনামা ক্রীড়াবিদ ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বে।
এই জমজমাট পরিস্থিতিতে ঘরের মাঠে টানা ১২টি সিরিজ জয়ের দিকে ফোকাস করছে ভারত।
ইন্দোর সিরিজের প্রথম টেস্টে মহম্মদ শামি, ইশান্ত শর্মা ও ইমেশ যাদব ১৪টি উইকেট তুলে নেন। ভারত টেস্টটি জেতে ইনিংস ও ১৩০ রানে।
এই নিয়ে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ভারত ১০টি টেস্টে ইনিংসে জিতল। এর আগে মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ৯ বার ও মহম্মদ আজহারউদ্দিন ৮ বার এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন।
পাশাপাশি ইন্দোরের জয় ভারতের টানা ছয় নম্বর জয়। যা তাদের সেরা পারফরম্যান্স। ২০১৩ সালে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বেও এই কৃতিত্ব অর্জন করেছিল ভারত।
টানা ছ'টি জয়ের ফলে আইসিসির বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ভারতের সংগ্রহ ৩০০ পয়েন্ট।