
চ্যাম্পিয়নশিপের লক্ষ্যে আরও একধাপ এগোল ইস্টবেঙ্গল। পিছিয়ে পড়েও ঘরের মাঠে জয় তুলে নিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। একা হাতে ইস্টবেঙ্গল জয় এনে দিলেন এসকুয়েদা। না হলে ৬৭ মিনিট পর্যন্ত ০-১ গোলে পিছিয়ে ছিল নেরোকার কাছে। দ্বিতীয় ডার্বি জয়ের পর থেকে নতুন করে চ্যাম্পিয়নশিপের আশা জেগে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে। আলোজান্দ্রোর কোচিংয়ে আবার দীর্ঘদিন পর আই লিগ জয়ের স্বপ্ন দেখছে কলকাতার এই দল। যে কারণে কোচকেও আগামী মরসুমের জন্য ধরে রাখার চেষ্টায় নেমে পড়েছে ক্লাব কর্তারা। যে দল ডার্বি জিতেছিল সেই দলে কোনও পরিবর্তনই আনেননি আলেজান্দ্রো। অন্যদিকে ম্যানুয়েল রেতামেরো নেরোকার প্রথম এগারোয় ছ'টি পরিবর্তন করেছিলেন।
ম্যাচ শুরুর তিন মিনিটের মধ্যেই নেরোকাকে এগিয়ে দিয়েছিলেন চেঞ্চো। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল নেরোকা। তখনও খেলায় ঢুকতেই পারেননি ইস্টবেঙ্গল। সেই সুযোগেই গোলে করে যায় নেরোকা। নতুন দলের হয়ে অভিষেকেই গোল পেলেন তিনি। কাটসুমির কর্নার ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন রক্ষিত দাগার। এর পর পুরো প্রথমার্ধ দুই দলই সুযোগ তৈরি করেছে। কিন্তু কেউই গোলের মুখ খুলতে পারেনি।
০-১ গোলে পিছিয়ে থেকেই দ্বিতীয়ার্ধে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল। আক্রমণে গতি বাড়াতে ৫৮ মিনিটে অ্যান্তনিও দোভালকে তুলে এনরিক এসকুয়েদাকে নিয়ে আসেন কোচ। তার পরই ঘুরে যায় খেলা। কেন এতক্ষণ তাঁকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছিলেন কোচ সেটাই এখন প্রশ্ন। তবে জিতে গেলে আর কোনও প্রশ্ন আসে না। তাই ওঠেওনি।
৬৭ মিনিটে গোলের মুখ খোলেন এনরিক এসকুয়েদা। স্যান্টোস কোলাডোর ক্রস ধরে বক্সের মধ্যে থেকেই এসকুয়েদার ক্লিনিক্যাল হেডারে সমতায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল। ন'মিনিটের মধ্যে আবারও গোল। এ বারও কারিগড় সেই এসকুয়েদাই।
ব্রেন্ডনের থেকে বল পেয়ে গিয়েছিলেন সামাদ বক্সের ঠিক ডানদিকে। আর সেখান থেকেই সামাদের মাপা ক্রস এসকুয়েদার হেডের অ্যাকশন রিপ্লে দেখল। একইভাবে মাপা হেড। সেখানেই শেষ হয়ে যায় ম্যাচ। তখনও নির্ধারিত সময়ের খেলা বাকি চার মিনিট। কিন্তু নেরোকা আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। এগিয়ে গিয়েও তাই খালি হাতে ফিরতে হল তাদের।
আলেজান্দ্রোর যত্ন করে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা তাসেই বাজিমাস করে গেল ইস্টবেঙ্গল।