
বিশ্বকাপে (World Cup 2019) তাঁর দল বাউন্ডারির গণনায় ইংল্যান্ডের (England) থেকে পিছিয়ে থাকায় বিশ্বকাপ পায়নি। এই ব্যাপারটা মেনে নিতে পারছেন না কিউই পেস তারকা ট্রেন্ট বোল্ট (Trent Boult )। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালের পরিণতি হজম করতে অন্তত দুটো বছর লাগতে পারে বলে ধারণা বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোল্ট। এবারের বিশ্বকাপে তিনি পেয়েছেন ১৭টি উইকেট। সেমিফাইনাল ও ফাইনালে দুরন্ত বোলিং করেছেন। কিন্তু বোলিংয়ের সব সাফল্য যেন ম্লান হয়ে গিয়েছে বিশ্বকাপ খোয়ানোর দুঃখে। তাও কেবল বাউন্ডারি কম মারার কারণে। কিন্তু বোল্ট জানাচ্ছেন তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন এই শোক ভুলতে। আর সেটা ভুলতে সমুদ্র সৈকতে কুকুর নিয়ে হেঁটে যেতে চান তিনি!
সাংবাদিকদের বোল্ট (Trent Boult ) জানাচ্ছেন, ‘‘চার মাস পরে আমি বাড়ি যাব। সম্ভবত আমার কুকুরটাকে নিয়ে সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে যাব এসব সরিয়ে রেখে। আমি নিশ্চিত ও আমার উপরে খুব বেশি রাগ করবে না।''
ফাইনালের বিতর্কিত ‘ওভারথ্রো' নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন কেন উইলিয়ামসন
ফাইনালের হার নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘এটা এমন ব্যাপার নয় যে, দু'দিনে ভুলে যাব। এটা ভোলা খুব শক্ত। সম্ভবত আগামী দু'বছর লেগে যাবে।''
ফাইনালের কথা বলতে গিয়ে তিনি ফিরে যাচ্ছেন ইংল্যান্ড ইনিংসের শেষে ৪৯তম ওভারে। সেই সময় জিমি নিশামের বলে বেন স্টোকসের ক্যাচ লুফে নেন বোল্ট। কিন্তু তাঁর পা ছুঁয়ে ফেলে বাউন্ডারি।
এই বিষয়ে তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘আপনি অবাক হয়ে যাবেন এটা দেখে যে, কখনও কোনও জিনিস নিজের থেকেই আপনার কাছে এল। আবার কখনও কিছু জিনিস আপনার কাছে এলই না। না হলে খেলাটাই আলাদা হয়ে যেত। তবে হ্যাঁ, আমি মনে মনে এখনও শেষ ওভারটায় রয়েছি।''
নাটকীয় শেষ ওভারে ওভারথ্রোয়ে ছ'রান পাওয়া, রান আউট মিস করা, সেখান থেকে টাই— এই সব মিলিয়ে নাটকীয় ওভারটি এখনও ভুলতে পারছেন না বোল্ট। তবে তিনি জানান, তিনি নিজেদের ‘প্রতারিত' বলে মেন করছেন না। সেই সঙ্গে এও জানাচ্ছেন, বিশ্বজয়ের এত কাছে এসে আজ পর্যন্ত কোনও দলকে ফিরে যেতে হয়নি।
সুপার ওভারে টাই হলে বিকল্প নিয়মের সন্ধান দিলেন শচীন তেন্ডুলকর
তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘আপনি দেখবেন, কেবল কিউইরাই নয়, অন্য ক্রিকেট ফ্যানরাও চেয়েছিল আমরা জিতি। সবাইকে দুঃখ দেওয়ার জন্য সত্যিই দুঃখিত।''
২০১৫ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালেও তাঁরা হেরেছিলেন। কিন্তু সেবার তাঁরা দাঁড়াতেই পারেননি। সেকথা উল্লেখ করে বোল্টের বক্তব্য, সেই হারের সঙ্গে এই হারের তুলনাই হয় না। সেবার তাঁরা প্রথম দু'ওভারেই হেরে গিয়েছিলেন!
২০১৯ বিশ্বকাপে জয়ের একেবারে সামনে এসেও ফিরে যাওয়া ভুলতে পারছেন না বোল্ট (Trent Boult )। আসলে কাপ ও ঠোঁটের মধ্যে দূরত্ব অসীম হয়ে উঠবে এটা অন্য কিউই খেলোয়াড়দের মতো তিনিও যে ভাবতে পারেননি।