
এক এক করে ছেড়েছেন অনেক কিছুই। প্রথম টেস্ট তার সঙ্গে টেস্টের অধিনায়কত্ব। তার পর একদিন হঠাৎ করে সব ফর্ম্যাটের ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব ছাড়েন। কিন্তু লিমিটেড ফর্ম্যাটের ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার মধ্যেও বার বার তাঁর অবসর নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলতে মরিয়া ছিলেন এমএস ধোনি (MS Dhoni)। মনে করা হয়েছিল বিশ্বকাপ (World Cup 2019) খেলেই অবসর নেবেন তিনি। কিন্তু তেমনটা না হওয়ায় নতুন করে জলঘোলা হতে শুরু করেছে। সামনে ক্যারিবিয়ান সফর (West Indies Tour)। সেই দলে তাঁকে রাখা না রাখার উপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। ভারতের প্রাক্তন ওপেনার বীরেন্দ্র সেহবাগ (Virender Sehwag) মনে করেন, ধোনির ভবিষ্যৎ যাই হোক না কেন সেটা তাঁকে জানিয়ে দেওয়া উচিৎ। তবে তিনি মনে করেন, এই সিদ্ধান্তটা তাঁরই হাতে ছাড়া উচিৎ।সেহবাগ বলেন, ‘‘এটা ধোনির হাতে ছাড়া উচিৎ কখন ও ওর বুটজোড়া তুলে রাখবে।''
তিনি আরও বলেন, ‘‘নির্বাচকদের দায়িত্বধোনির কাছে গিয়ে বলা যে তুমি আর এই ভারতীয় দলের উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে থাকছ না।''
দল নির্বাচনের আগে ধোনিকে নিয়ে আগ্রহ তুঙ্গে, নজরে বিরাটও
বিশ্বকাপে তাঁর মন্থর ব্যাটিং নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। সেই তালিকায় একটা সময় ঢুকে পড়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরও। যদিও ২০১১-র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ২০১৯ বিশ্বকাপের সব ম্যাচই খেলেছেন ধোনি। তার মদ্যে দুটো হাফ সেঞ্চুরিও করেছেন। সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেছেন।
স্থগিত রাখা হল ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের জন্য শুক্রবারের দল নির্বাচনী সভা
সেমিফাইনালে ধোনিকে সাত নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হয়। সেই ম্যাচে টপ অর্ডার দাঁড়াতেই পারেনি। তার পরও ধোনিকে দেড়িতে নামানোয় প্রাক্তন ক্রিকেটাররা এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করতে ছাড়েননি। অনেকেই এটাকে (ট্যাকটিক্যাল ব্লান্ডার' আখ্যা দিয়েছিলেন। অত পড়ে নেমেও হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন ধোনি। রবীন্দ্র জাডেজার সঙ্গে ১০০ রানের পার্টনারশিপ করে দলকে একটা সময় ভরসাও দিয়েছিলেন।
ধোনি এখনও পর্যন্ত ৩৫০টি একদিনে ম্যাচ খেলেছেন। করছেন ১০,৭৭৩ রান। যার গড় ৫০.৫৭। তাঁর ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রান অপরাজিত ১৮৩।